প্রকৌশল বিভাগের অবহেলা নাকি ষড়যন্ত্র প্রশ্ন উঠছে যাত্রীদের মধ্যে
প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৭:২১
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা-আবুধাবি রুটের বিজি ৩২৭ ফ্লাইটটি পয়োবর্জ্য ব্যবস্থার (ল্যাভেটরি ফ্লাশিং সিস্টেম) ত্রুটির কারণে এক ঘণ্টা উড়ে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে আসে। এর আগের দিন ব্যাংকগামী একটি ফ্লাইটে ইঞ্জিন কম্পনের কারণে ফেরত আসতে হয়েছিল, যা ১৬টি ফ্লাইটের সময়সূচি বিপর্যস্ত করে।
জুলাই ও আগস্টে দাম্মাম, দুবাই, জেদ্দা ও অন্যান্য রুটের ফ্লাইটেও একই ধরনের ত্রুটি ধরা পড়ে। এর মধ্যে দুবাইয়ে অবতরণের পর চাকা ফেটে যাওয়া, জেদ্দায় পার্কিংয়ের সময় চাকায় ত্রুটি, এমনকি মেরামতের পরও ত্রুটি ধরা পড়ার ঘটনা রয়েছে।
কারণ অনুসন্ধান ও অভিযোগ
অভ্যন্তরীণ সূত্রের দাবি, প্রকৌশল বিভাগে দায়সারা কাজ ও যোগ্যতার ঘাটতি এর পেছনে বড় কারণ। অনেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ পান না, আবার তদারকির ঘাটতিও প্রকট। প্রধান প্রকৌশলী দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, ত্রুটি সারাতে প্রকৌশল বিভাগকে মনোযোগী হতে বলা হয়েছে এবং অবহেলার প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও (বেবিচক) ঘটনাগুলো তদন্ত করছে।
অ্যাভিয়েশন বিশ্লেষক ও সাবেক বৈমানিকরা বলছেন, এটি কোনও আকস্মিক দুর্ঘটনা নয়; বরং দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার ঘাটতির ফল। নিরাপদ আকাশপথ নিশ্চিত করতে প্রকৌশল বিভাগ পুনর্গঠন, যোগ্য জনবল নিয়োগ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।