বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। লেংটাবাবা অলরেডি শহীদ!
প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২৫, ৭:২৪:৪৭
রাজনীতির সস্তা বয়ানে সাময়িক জয় বা বাহবা পাওয়া গেলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সত্যের জয়, দেরীতে হলেও সেটা ঠেকিয়ে রাখা যায় না। আমরা কতিপয় ব্যাক্তি, স্রোতের বাইরে এসে বলার চেষ্টা করেছিলাম, সেনাপ্রধান তার দায়িত্বের বাইরেও জীবনের সর্বাধিক ঝুকি নিয়ে, জুলাই আন্দোলনে আমাদের পক্ষ নিয়েছিলেন, রক্তপাত কমিয়েছিলেন, এমনকি সবাই যখন অনির্দিষ্টকালের ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন তখন প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে ১৮ মাসের সময়সীমার কথা বলেছিলেন। আজ সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে সব আলোচনা হচ্ছে!
তার বিরুদ্ধে যখন সীমাহীন অপপ্রচার, এমনকি হাসনাত ও আসিফ মাহমুদের দৃষ্টিকটু বিরুদ্ধাচারণ, তখনও ইতিহাসের প্রথম সেনাপ্রধান হিসেবে সমীহ, সংযম দেখিয়েছেন, কারো বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেননি। ব্যারিস্টার ফুয়াদ রাজপথে দাঁড়িয়ে যে নোংরা ভাষায় তাকে গালিগালাজ করেছেন, এর পরও কেউ তার গায়ে টোকা পর্যন্ত দেয়নি। এটা বিরল বাংলাদেশে। এর আগে, সেনাপ্রধান আজিজের ভাই জোসেফকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর, বিডিনিউজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আমরা দীর্ঘ সাংবাদিকতায়, কখনও দেখিনি, সেনাপ্রধান নিয়ে সরকারী পদে বসে কেউ হীন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, সরকার সেটা এন্ডোর্স করছে। দেখিনি, রাজপথের ভাষনে কেউ সেনাপ্রধানের চামড়া তুলে নেবার কথা বলতে পেরেছেন! ওয়াকার সবসময়, সংযত আচারণ করে, সংঘাত পরিহার করে সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
একটা পর্যায়ে তাকেই একমাত্র নির্বাচনের গ্যারান্টার হিসেবে মনে হয়েছে, যখন লেংটার নেতৃত্বে ত্রয়ীজোট তারে নিগৃহীত করার সকল অয়োজন সম্পন্ন করেছিলো, দল হিসেবে এনসিপি ও জামায়াত এমনকি এবি পার্টি সেনাবাহিনীর বিরদ্ধাচারণ করেছিল সম্মিলিত ভাবে। সেসময় নির্বাচন গনতন্ত্র প্রশ্নে, আমরা সেনাপ্রধানের দৃড়তা দেখেছিলাম।
বিএনপি দল হিসেবে, রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করার কথা বলেছিল, বাকী কেউ বলেনি। না সরকার, না অন্যকোন রাজনৈতিক দল।
দিন শেষে, লেংটাত্রয়ীর সকল ষড়যন্ত্র শেষের পথে। সার্জিস এর আগেও সেনাপ্রধানের পক্ষে লিখেছে, আজও লিখেছে ঝুঁকি নিয়েই। যে ভালো, তার ভালো কাজ সামনে আনা দোষের না। সার্জিসের এ বক্তব্যের মধ্যেদিয়ে লেংটাত্রয়ীর পরাজয় উদযাপন করি আমরা।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। লেংটাবাবা অলরেডি শহীদ!
শাহেদ আলমের ফেসবুক থেকে নেয়া