বিভিন্ন অভিযোগে ক্রমবর্ধমান মামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা
প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২৫, ২:০০:৫৮
জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর দুই থানার পৃথক চার মামলায় সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। পরে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
মিরপুরে আব্দুল্লাহ কবির হত্যা মামলা ও আদহাম বিন আমিন হত্যাচেষ্টা মামলা ও শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ হত্যা মামালায় সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ হত্যা মামলা ও পল্লবী থানার অস্ত্র মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।
আব্দুল্লাহ কবির হত্যা মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অগাস্ট দুপুরে মিরপুর-১০ এর গোল চত্বর আইডিয়াল স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সহযোগিতার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছিলেন আব্দুল্লাহ কবির। সেখানে পুলিশ, র্যাব, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নির্বিচারে গুলি চালায়। তখন গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ কবির। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়।
আদহামের মামলার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে আন্দোলন করছিলেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদহাম বিন আমিন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। আদহাম বিন আমিনের দুই হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর তার ভাই আকিবুন নূর হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ এ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন বিএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে আহনাফ গুলিবিদ্ধ হন। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ এপ্রিল মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
পল্লবী অস্ত্র মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নেওয়া অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কামাল আহমেদ মজুমদার নিজের ব্যক্তিগত দুটি অস্ত্র জমা দেননি। এ ঘটনায় পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আবু সামা মামলা করেন।