রঙিন চেহারা আর মিষ্টি স্বাদের জন্য পরিচিত ড্রাগন ফল শুধু চোখে নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।
প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২:১৮:৫৪
প্রাকৃতিক ভিটামিনের ভাণ্ডার
ড্রাগন ফল বা পিথাইয়া মূলত ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, এবং মিনারেলে সমৃদ্ধ। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, “ড্রাগন ফল খেলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়, যা সাধারণ ঠাণ্ডা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।”
হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা হজম শক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্র স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এছাড়া কম ক্যালোরি যুক্ত হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আদর্শ। পুষ্টিবিদ ডঃ সুমিতা চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, “ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে মেটাবলিজম ঠিক থাকে এবং ওজন কমানো সহজ হয়।”
“প্রতিদিন একটি ড্রাগন ফল আপনার শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায়।” —ডঃ সুমিতা চক্রবর্তী
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস
ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, এবং পলিফেনল হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, নিয়মিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার ফলে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা
চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ড্রাগন ফল বহুদিন ধরে খাদ্য ও ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেও এটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে জনপ্রিয়। স্বাস্থ্য সচেতনরা স্যালাড, স্মুদি ও জুসে ড্রাগন ফলের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন।
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির উপায়
ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য এটি সরাসরি খাওয়া যায় বা সালাদ, স্মুদি ও ডেজার্টে ব্যবহার করা যায়। এটি হজমকে সহজ করে, ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩–৪ বার ড্রাগন ফল খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যে সুফল পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও অসাধারণ। দৈনন্দিন জীবনে এটি অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরকে সুস্থ, শক্তিশালী ও রোগমুক্ত রাখা সম্ভব।