গরিব পরিবারের সন্তান হিসেবে শুরু, আজ বলিউডের আলোয় জ্বলছেন ভারতী।
প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২:১৩:৫৮
হাসির পেছনের গল্প
বলিউডে যিনি আজকের দিনের হাসির রাজা, তিনি ভারতী। তবে যে হাসি দর্শক দেখেন, তার পেছনে লুকানো আছে কঠোর পরিশ্রম, অনিশ্চয়তা আর শৈশবের অভাব। ছোটবেলায় অর্থের সংকটে পরিবারকে সাহায্য করতে কাজ করেছেন বিভিন্ন জায়গায়। স্কুলের ক্লাসরুমে নয়, বাস্তব জীবনের ক্লাসে তিনি শিখেছেন সৃজনশীলতা, ধৈর্য ও আত্মনির্ভরতার পাঠ।
কমেডির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ
ভারতী বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন ছোটখাট চরিত্রে। তবে তাঁর অভিনয়ে যে স্বতন্ত্র রঙ, তা দ্রুত দর্শক এবং সমালোচকদের নজরে আসে। বিশেষ করে কমেডি অভিনেত্রী হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন। তাঁর হাস্যরস শুধু বিনোদন নয়, তা হয়ে উঠেছে সামাজিক বার্তাও।
“হাসি কখনো শুধুই আনন্দের নয়; এটি হতে পারে সংগ্রামের গল্পও।” -ভারতী
বিশেষজ্ঞদের অভিমত
ফিল্ম সমালোচক অনিতা রায় মনে করেন, “ভারতী শুধু কমেডিয়ান নয়, তিনি এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। গরিব শিশুর জীবন থেকে উঠে এসে যে কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতা তিনি দেখিয়েছেন, তা নতুন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
বিশ্বজুড়ে অনেক অভিনেত্রী-অভিনেতা আছে যারা অনুরূপ গল্পে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। যেমন মার্কিন কমেডিয়ান এলেন ডেজেনারেস, যিনি শৈশবের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে কমেডি বিশ্বে নাম করেছেন। ভারতীও একই পথে এগোচ্ছেন-নিজের কঠিন অভিজ্ঞতা হাসির মাধ্যমে শিল্পে রূপান্তর করছেন।
সামাজিক প্রভাব
ভারতীর কণ্ঠ ও অভিনয় শুধু সিনেমা প্রেমীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি প্রভাব ফেলেছেন। তরুণরা তাঁর সংগ্রামের গল্প শোনার পর নিজের স্বপ্নের পেছনে কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের চরিত্র বিশ্ব চলচ্চিত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ও সৃজনশীলতার নতুন মাত্রা যোগ করছে।
ভবিষ্যতের আশা
ভারতী বলিউডে আরও বড় ও বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর লক্ষ্য শুধু হাসি ছড়িয়ে দেওয়া নয়, দর্শকদের জীবনের কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা। শৈশবের অনটন তাঁকে থামাতে পারেনি; বরং তা তৈরি করেছে বলিউডের এক শক্তিশালী কমেডিয়ান।