যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার মাঝেই নতুন করে সংঘর্ষ, প্রাণহানিতে চরম উদ্বেগ
প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:১৯:১৭
গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৯৫ জনে, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ বেসামরিক নাগরিক। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এই হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনার অগ্রগতি চলছিল। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রত্যাশায় নতুন করে ধাক্কা লাগছে।
হামলার সময় ও এলাকা
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজার খান ইউনুস, রাফাহ ও দেইর আল বালাহ এলাকায় কয়েক দফায় হামলা চালায়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, অধিকাংশ মৃত্যু হয়েছে রাতের বোমাবর্ষণে, যখন অধিকাংশ মানুষ ঘুমিয়ে ছিল।
বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুরো ভবন ধসে পড়েছে, অনেকে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এবং জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো কাজ করছে।
রাফাহর এক বাসিন্দা জানান,
আমার চোখের সামনে চারটি শিশু মারা গেছে। আমরা নিরাপদ মনে করে ঘুমাতে পারি না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) দাবি করেছে, তারা গাজায় হামাসের সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ, অস্ত্র মজুতঘর ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে।” তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, এই ধরনের বেসামরিক প্রাণহানী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “এই ধরনের নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে হবে। গাজায় জীবন রক্ষাই এখন প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার অংশ নিচ্ছে। তবে ইসরায়েলের নতুন এ হামলায় আলোচনার অগ্রগতি শঙ্কার মুখে পড়েছে।