বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা যুদ্ধ এড়াতে পারে
প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২৫, ১২:৩০:৩৩
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চললেও, এখনো তা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ রূপে পরিণত হয়নি। তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, সীমান্তে ড্রোন হামলা ও সাইবার আক্রমণ ইঙ্গিত দিচ্ছে দুই দেশই সংঘাতে জড়ানোর দ্বারপ্রান্তে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই উত্তেজনার আগুন নেভাতে প্রয়োজন কৌশলী ও দৃঢ় কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফোন কল তত্ত্ব’
নিউইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা ও বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বেশ কিছু কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তার মতে,
“যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বা শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কূটনীতিকের সরাসরি হস্তক্ষেপ বা একটি ফোন কলই যথেষ্ট যুদ্ধ থামাতে।”
তাদের মতে, ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব এখনও ব্যাপক। ওয়াশিংটনের চাপই ইসরায়েলকে সংযত করতে পারে।
ইরানের অবস্থান
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি সম্প্রতি বলেছেন,
“আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে কারও আগ্রাসন মেনে নেব না।”
এ বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, তেহরান এখনও কূটনৈতিক সমাধানের পথ উন্মুক্ত রাখছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য উদ্যোগ
ইসরায়েল ও ইরান মুখোমুখি অবস্থানে থাকলেও, এখনো সময় আছে সংঘাত রোধের। যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই একটি ফোন কলে শুরু হতে পারে যুদ্ধবিরতির আলোচনা। বিশ্বশান্তির স্বার্থে সময়মতো কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।