 
                            প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৭:১৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে একের পর এক মরদেহ। এরইমধ্যে অন্তত ৫৫টির বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল অ্যারাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত উদ্ধারকারী সংস্থার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মুঘাইয়ির জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কীভাবে বা কখন তাদের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে ৩৩টি গাজা সিটির বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতির আগে গাজা সিটিতেই ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযান।
তিনি বলেন, ‘আজই শেখ রাদওয়ান এলাকার বারাকা অঞ্চলের কাছে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একজন নিহত হয়েছেন।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তুতি এবং জিম্মিদের ফেরত আনার লক্ষ্যে গোলাগুলি বন্ধ রেখেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার আওতায় গাজায় বন্দি থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলি সেনা ও সাঁজোয়া যানগুলো গাজা সিটি ও দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসের অগ্রবর্তী অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে।
এদিকে, দুই বছরের মর্মান্তিক যুদ্ধ শেষে হাজারো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নিজেদের বিধ্বস্ত বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছেন।
গাজার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সি আকরাম আল-সহহার বলেন, ‘আমরা গাজা সিটিতে পৌঁছানোর জন্য দুপুর থেকে হাঁটছি। আমরা ক্লান্ত হলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যুদ্ধ থেমে গেছে। আমরা আমাদের বাড়ির ধ্বংসাবশেষে ফিরে যাচ্ছি, সেটিকে আগের চেয়েও সুন্দর করে আবার গড়ে তুলব। আমরা হাল ছাড়ব না।’