কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নির ফিলিস্তিন স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণায় বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া তীব্র।
প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:০০:২৫
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বুধবার জানান, আগামী ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ৮০তম অধিবেশনে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য প্রকাশ করেছে। কার্নি বলেন, “আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে রয়েছি, যার ভিত্তি হবে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা। কিন্তু বর্তমানে সেই পথ আর টেকসই নয়।”
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। তাই কানাডার এই সিদ্ধান্তকে পশ্চিমা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে, গাজায় চলমান যুদ্ধ ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের উপর এই স্বীকৃতির প্রভাব কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।কার্নি আরও বলেন, এই স্বীকৃতির ভিত্তি হবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি এবং ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার। তিনি স্পষ্ট করেন, হামাস ফিলিস্তিনের ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারবে না এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই শর্তটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। কার্নি বলেন, “দুই রাষ্ট্র সমাধান ধরে রাখার মানে হলো তাদের পাশে দাঁড়ানো যারা সহিংসতা নয়, বরং শান্তির পথ বেছে নেয়।” অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, “এই স্বীকৃতি আসলে হামাসকে পুরস্কৃত করার মতো।” ট্রাম্প ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঘোষণাকে অবজ্ঞা করে বলেন, “তিনি কী বললেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, এতে কিছুই পরিবর্তন হবে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইস্যু নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে স্কটল্যান্ডে বৈঠকে আলোচনা হয়নি।ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে, যদিও জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থা গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে। গাজায় চলমান সংঘর্ষে ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।