জাতিসংঘ সতর্ক: ‘দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ রূপ’; ট্রাম্প বললেন, গাজায় মানুষ না খেয়ে আছে, ইসরায়েলের ভূমিকায় ‘ঘাটতি’
প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪:৪৯
ইসরায়েলের দীর্ঘ অবরোধ ও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে গাজায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ চলছে। জাতিসংঘের ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “গাজায় দুর্ভিক্ষ তার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপে আত্মপ্রকাশ করছে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত বাড়ছে।” সংস্থাটির হিসাব, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি শিশু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছে। এর মধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে এবং গত ১৭ জুলাইয়ের পর অনাহারে মারা গেছে ১৬ শিশু।
আইপিসি বলছে,
দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে অবরোধ প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গত মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, মিসর ও জর্ডানে আটকে আছে ৬ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক, যাদের গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না ইসরায়েল।
ট্রাম্প বললেন, ‘মানুষ না খেয়ে আছে’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, “গাজায় শিশুরা ক্ষুধায় কাতর। আমি নিজে তাদের দেখেছি। কেউই একে ভুয়া বলতে পারবে না।” তিনি বলেন, “ইসরায়েল মানবিক সহায়তার প্রবেশে আরও ভালো ভূমিকা রাখতে পারত।”
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্টারমার ব্যক্তিগতভাবে গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পকে চাপ দেন। ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বক্তব্যের বিপরীতে বলেন, “সংকটের জন্য ইসরায়েল অনেকাংশে দায়ী।”
নিহত ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭০ জন। গতকাল এক দিনে নিহত হয়েছেন ১১৩ জন।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সতর্কতা
ডব্লিউএফপির জরুরি বিভাগের পরিচালক রস স্মিথ বলেন, “এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি শতাব্দীর আর কোনো ঘটনার মতো নয়। আমরা এখনই দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।”
নিষেধাজ্ঞার মুখে ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী
নেদারল্যান্ডস গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের দুই মন্ত্রী বেন গাভির ও বেজালেল স্মোট্রিচের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইসরায়েল এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।