নিয়মিত প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর নদীপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত বাঁধ নির্মাণে পদক্ষেপ চাইলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২৫, ১:০৮:০৩
টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে শনিবার (১২ জুলাই) ফেনীর বন্যাদুর্গত ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া এলাকায় যান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নেন এবং ত্রাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।
পুরাতন মুন্সীরহাটে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপদেষ্টা বলেন,
“কেউ কেউ বলছেন ত্রাণ লাগবে না, শুধু টেকসই বেড়িবাঁধ করে দিন। আমি বলছি আমাদের দুটোই লাগবে। এখন ত্রাণ দরকার জীবন বাঁচাতে, আর দীর্ঘমেয়াদে টেকসই বেড়িবাঁধ দরকার মানুষের নিরাপত্তায়। একই সঙ্গে জীবিকার ব্যবস্থাও অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি বলেন, অতি দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ এখন সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, খাবারের নিশ্চয়তা নেই তাদের আগে রক্ষা করতে হবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী অবকাঠামো নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ফারুক ই আজম আরও বলেন,
“ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এক নম্বর অগ্রাধিকার হতে হবে। এটি কোনো ছোটখাটো কাজ নয় এটা বিশাল প্রকল্প। তাই কাজের মান, কারিগরি দক্ষতা এবং যথাযথ উদ্যোগ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বারবার এমন বড় প্রকল্প নেওয়া সম্ভব নয়।”
সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, পুনর্বাসন, খাদ্য সহায়তা এবং অবকাঠামোগত নিরাপত্তা এই তিনটি বিষয়কে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলায় সফল হওয়া সম্ভব।