পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ
প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২৫, ১০:০৯:০৮
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইরান। দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি আমির নাসের ইরাভানি বলেন, ইরানের বিভিন্ন বেসামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও মানবাধিকার চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।
তিনি জাতিসংঘে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন,
এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সব মানদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। ইরান আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে পিছপা হবে না।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহ:
হামলার ধরন: ইরাভানি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক’ চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন: হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও জাতিসংঘ সনদের ২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
আত্মরক্ষার অধিকার: ইরান জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে এরকম হামলার জবাব দিতে বাধ্য হবে, যা সনদের ৫১ অনুচ্ছেদে বৈধতা পায়।
বেসামরিক ক্ষতি: হামলায় বেশ কিছু বিজ্ঞানী, নিরাপত্তাকর্মী ও নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে জানায় তেহরান।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: চীন ও রাশিয়া ইরানের অবস্থানের প্রতি সহানুভূতি জানায় এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে উভয় পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানায়।
কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এবার জাতিসংঘকে একটি সক্রিয় কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সমর্থন গড়ে তুলতে চায়। এটি শুধু নিরাপত্তা পরিষদের একটি আলোচ্য ইস্যু নয়, বরং তা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নতুন উত্তেজনার সূচকও হতে পারে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উদ্বেগ
জাতিসংঘে ইরানের প্রতিবাদ কেবল একটি দেশের আত্মরক্ষার দাবি নয়, এটি হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির নতুন ছায়াযুদ্ধের ইঙ্গিত। সামনে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।