প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ৩:০৪:১২
প্রায় ৭০০ বন্দির ধারণ ক্ষমতা নিয়ে চালু হলো খুলনার আধুনিক নতুন কারাগার। প্রাথমিকভাবে এই কারাগারে ১০০ বন্দি নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান কারাগারটি খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় নতুন কারাগারে স্থানান্তরিত কয়েদিদের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
এদিন সকাল ১০টায় পুরাতন জেলা কারাগার থেকে শুরু হয় কয়েদি স্থানান্তর। পর্যায়ক্রমে জেলার ৯ উপজেলার কয়েদি এবং হাজতিদের রাখা হবে নতুন কারাগারে। পুরাতন কারাগারে রাখা হবে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দিদের।
জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন,দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ১০০ কয়েদি দিয়ে নতুন কারাগারের যাত্রা শুরু হয়েছে। এর আগে, এক বোর্ড সভায় গত মাসের ২৫ অক্টোবর যাওয়ার কথা থাকলেও অধিদফতরের হেডকোয়ার্টারে সিদ্ধান্তনুযাযী আজ থেকে নতুন কারাগারের কাজ শুরু হচ্ছে।
ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত জেলখানা ঘাটের বর্তমান কারাগারটি খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। পুরোনো কারাগারটি ১৯১২ সালে নির্মিত। যেখানে বন্দির ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন।
পুরাতন কারাগার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নতুন জেলা কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
নতুন এ কারাগারে মোট ৫২টি অবকাঠামো রয়েছে। এই কারাগারে সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দি ধারণ করতে সক্ষম। এটি একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। যেখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট ছাড়াও কিশোর ও নারী বন্দিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে- কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকবে।