মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আগ্রাসন’ বলে
প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২৫, ৯:২০:৫০
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা এক ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই দুই দেশ একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের হামলা চালাচ্ছে। প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য বেসামরিক মানুষ। এরই মধ্যে ট্রাম্পের একটি মন্তব্য আলোচনায় এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন:
“এই যুদ্ধ খুব দ্রুত থেমে যাবে। তবে এখনই তা কবে থামবে, তা বলা যাচ্ছে না।”
এই বক্তব্যে কেউ কেউ সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত দেখলেও অনেকে এটিকে ‘অস্পষ্ট ও কৌশলগত বক্তব্য’ হিসেবেও ব্যাখ্যা করছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা:
সিরিয়া, লেবানন ও গাজার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের বাহিনী একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছে। হিজবুল্লাহ ও হুথি বিদ্রোহীরাও এখন কার্যত ইরানের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এর বিপরীতে ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে ইরানের অভ্যন্তরেও। সম্প্রতি ইরানের কোম শহরে এক বিমান হামলায় নিহত হন দুইজন।
বিশ্লেষকদের মতামত:
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. হামিদ রেজা বলেন,
“এই যুদ্ধ থামানোর জন্য ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারেননি। বরং রাজনৈতিক বক্তব্যই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক Middle East Forum বলছে,
“যদি যুদ্ধ অব্যাহত থাকে, তাহলে এর পরিণতি শুধু ইরান-ইসরায়েল নয়, গোটা অঞ্চল ও বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ হবে।”
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ:
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত থামাতে একাধিকবার বৈঠক করেছে। তবে তাতে কোনো কার্যকর ফল আসেনি। রাশিয়া ও চীন সরাসরি ইরানের পাশে অবস্থান নিয়েছে, যা সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘থামবে হামলা’ বক্তব্য এখনো বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একদিকে যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে সীমান্ত পেরিয়ে, অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে চলছে দায়সারা আলোচনার চেষ্টা। বাস্তবতা হলো যুদ্ধ বন্ধের জন্য এখন প্রয়োজন সুস্পষ্ট, আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত ও সাহসী উদ্যোগ।