ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মাঝে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকা
প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৫৯:৪২
পূর্বের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
ট্রাম্প প্রশাসন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ট্রাম্পের আমলেই মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত হয়, যা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়িয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সম্পর্ক এখনো রয়ে গেছে এবং নেতানিয়াহু তার পুরনো বন্ধু ট্রাম্পকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের কৌশল নিচ্ছেন।
সাম্প্রতিক অবস্থান ও চুপ থাকা
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক একতরফা হামলা ও ইরানকে উসকানির পরও ট্রাম্প সরাসরি কোনো নিন্দা বা সতর্ক বার্তা দেননি। বরং তাঁর বক্তব্য ঘুরেফিরে ইরানের শাসনের সমালোচনাতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মৌনতা নেতানিয়াহুর উগ্র অবস্থানকে বৈধতা দেওয়ার সমান।
বিশ্বনেতাদের উদ্বেগ
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এখনো কূটনৈতিক ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য আসেনি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, নেতানিয়াহু কৌশলে ট্রাম্পকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছেন, যেখানে তিনি আর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছেন না।
বিশ্লেষকদের মতামত
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক জর্জ হাডসন বলেন,
“নেতানিয়াহুর কৌশল হলো মার্কিন রাজনীতিতে নিজের প্রভাব ধরে রাখা। ট্রাম্প সেই ফাঁদে পড়ে গেছেন।”
মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক ফারহান কাশেম মনে করেন, “ট্রাম্পের ভাবমূর্তি এখন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়ানো একজন ‘অঘোষিত মুখপাত্র’ হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে।”
নেতানিয়াহুর কঠোর কৌশল ও ট্রাম্পের নিরব সমর্থন বর্তমান ইরান-ইসরায়েল সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। বিশ্ব কূটনীতি যখন ভারসাম্য খুঁজছে, তখন ট্রাম্পের অবস্থান তাকে নেতানিয়াহুর কৌশলের ছায়াতলে নিয়ে ফেলেছে যা ভবিষ্যতের রাজনীতি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।