ডিনার টেবিলে খুশি থাকলেও, বিল ভাগের মুহূর্তে ঝামেলা হতে পারে। প্রযুক্তি ও কিছু সহজ কৌশলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ৩:২৬:৪৯
বন্ধুর সঙ্গে খাবারের আনন্দ ভাগাভাগি করার সময়ই অনেকের মুখে আসে ‘কেউ কত দেবে’ বা ‘কোণটা ভাগ হবে’ এই প্রশ্ন। সাধারণত এই মুহূর্তগুলো হাসি-ঠাট্টার মাঝেও অজান্তেই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ও কিছু ব্যাবহারিক কৌশলেই এই সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব। প্রথম কৌশল হলো ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার। বিশ্বের অনেক দেশে ‘Splitwise’, ‘Venmo’ বা ‘PayPal’ এর মতো অ্যাপ বন্ধুর সঙ্গে বিল ভাগ করার সুবিধা দেয়। প্রত্যেকে নিজের অংশ নিজের ফোন থেকে পরিশোধ করতে পারে। বাংলাদেশেও বিকাশ, নগদ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে।
"ছোট ছোট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খাওয়ার বিল ভাগ করা এখন আর ঝামেলার নয়, বরং বন্ধুত্বকে আরও মধুর করে" আর্থিক বিশেষজ্ঞ মিতুল চক্রবর্তী
দ্বিতীয়ত, সরাসরি আলোচনা ও স্বচ্ছতা। খাবারের আগে বা পরে প্রত্যেকের অংশ কেমন হবে তা স্পষ্টভাবে জানানো অস্বস্তি কমায়। এছাড়া, ছোট ছোট নোট বা চেকলিস্টের মাধ্যমে ভাগ নির্ধারণ করা যেতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতেও এই সমস্যা সমাধানের উদাহরণ রয়েছে। যেমন জাপানে ‘go-shōgi’ বা ‘fair share’ নীতি অনুসরণ করা হয়-যেখানে খাবারের বিল বা খরচ সবার মধ্যে স্বচ্ছভাবে ভাগ করা হয়। ইউরোপের অনেক দেশে একইভাবে বন্ধুদের মধ্যে খরচের স্বচ্ছতা রাখা হয় যাতে সম্পর্কের মধ্যে আর্থিক অস্বস্তি না আসে। শেষত, অ্যাপ ও আলোচনা দুটো মিলিয়ে ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর। প্রযুক্তি দ্রুত এবং সঠিক হিসাব রাখে, আর সরাসরি আলোচনা বন্ধুত্বকে মজবুত রাখে। এই দুইয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করে, ডিনার শেষে ঝামেলা নয়, বরং হাসি-ঠাট্টা ও আরামদায়ক মুহূর্ত থাকে। বন্ধুর সঙ্গে খাবারের বিল ভাগের সমস্যা ছোট মনে হলেও, সঠিক কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তা সহজে সমাধানযোগ্য। আর এতে বন্ধুত্বও আরও মধুর হয়, এবং খাবারের আনন্দও অপরিবর্তিত থাকে।