বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
| ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষমা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। অতীতের ভুল ও মতভেদের অবসান ঘটিয়ে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে পশ্চিমা জোটকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
একাধিক আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক গোপন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল অবকাঠামো এখনো অক্ষত। এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার সম্পর্কে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া মৃত্যু বা গুরুতর আহত হওয়ার গুজবকে নাকচ করে দিয়ে তিনি নিজেই জনতার সামনে হাজির হয়েছেন। জনসভায় দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছেন, ইরান এখন আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত এবং প্রতিপক্ষকে কঠিন জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও অবস্থান ইঙ্গিত করছে, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কৌশলগত চাপে পড়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নেতানিয়াহুর আক্রমণাত্মক নীতির পেছনে ট্রাম্পের মৌন সম্মতি বা সমর্থন একটি বড় ভূমিকা রাখছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, "আমাদের সংগ্রাম আপসের মাধ্যমে শেষ হবে না, বরং তা চলবে যতক্ষণ না ন্যায়ের বিজয় হয়।" চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই বার্তা একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণারই ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
খামেনি বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে ছায়াযুদ্ধ চলেছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, সাইবার হামলা, গোপন গুপ্তচরবৃত্তি। এখন সময় এসেছে সরাসরি জবাব দেওয়ার। যুদ্ধ এখন কেবল সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতা।”