 
                            প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২:১২:২১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজার চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানতে ব্যর্থ হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি আবারও সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। বুধবার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বললে ইসরায়েলি বাহিনী যত দ্রুত সম্ভব আবারও মাঠে নামতে পারবে।’
ট্রাম্প বলেন, “হামাসের সঙ্গে যা চলছে, তা খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে। প্রয়োজনে ইসরায়েল তাদের ‘চূর্ণবিচূর্ণ’ করতে পারে। আমি আসলে তাদের (ইসরায়েলকে) থামিয়ে রেখেছিলাম। আমি ‘বিবি’র (নেতানিয়াহু) সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি।”
এরইমধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে বর্তমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। শর্তে সব জীবিত জিম্মি এবং মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দেওয়া হলেও মঙ্গলবার ফেরত দেওয়া চারটি মরদেহের মধ্যে একটি ইসরায়েলির নয় বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। জানা গেছে, আরও চার বা পাঁচজনের দেহাবশেষ বুধবারের মধ্যে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
এই ‘জিম্মি ফেরত দেওয়া’ ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল প্রকাশ্যে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে ফেরত দিতে হবে।’
যুদ্ধবিরতি মোটামুটি টিকে থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় হামাস ও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস গিয়ে সহিংস গ্যাংগুলোকে সরিয়ে দিচ্ছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এটা কেবল গ্যাং নয়, অন্য কিছুও হতে পারে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘জীবিত জিম্মিদের ফেরত পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে তিনি সতর্ক করেন, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে, নয়তো ইসরায়েল আবারও সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে।
শান্তি পরিকল্পনার ষষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে, ‘সব জিম্মি ফেরত দেওয়ার পর, যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে রাজি এবং অস্ত্র জমা দেবে, সেই হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি যারা গাজা ছাড়তে চায়, তাদের নিরাপদে অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।’
হামাস অস্ত্র জমা না দিলে কী হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলে, ‘আমি ভাবছি… ইসরায়েল আমার কথায়ই আবারও মাঠে নামবে।’