 
                            প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৪:২৭
আফগান বাহিনীর হামলার জবাবে শনিবার রাতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক পাল্টা অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী। এতে আফগানিস্তানের একাধিক সীমান্ত পোস্ট ও ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, ১৯টি পোস্ট দখলে নেওয়া হয়েছে এবং আফগান সেনা ও জঙ্গিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে পাকিস্তানি বাহিনী। সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ১৯টি আফগান পোস্ট দখলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো পাকিস্তানে হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, দখল করা সীমান্ত পোস্টগুলোতে আগুন জ্বলছে এবং ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এটিকে আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় কৌশলগত সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, আফগান বাহিনী বিনা উসকানিতে পাকিস্তানের আঙ্গুর আড্ডা, বাজৌর ও কুররমসহ একাধিক সীমান্ত পয়েন্টে গুলি চালায়। একইসঙ্গে দির, চিত্রাল, বারামচা ও আরও কয়েকটি এলাকায় হামলার খবর পাওয়া গেছে।
আরও বলা হয়, আফগান বাহিনীর এই গুলিবর্ষণের লক্ষ্য ছিল ‘খারেজি’ নামের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশে সহায়তা করা। এতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সীমান্ত পোস্টগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা জবাব দেয় এবং আফগান অবস্থানগুলোকে টার্গেট করে।
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় দুরান মেলা ও তুর্কমানজাই ক্যাম্পসহ একাধিক পোস্ট ধ্বংস হওয়ার পর আফগান বাহিনী পাকিস্তানকে অভিযান বন্ধের অনুরোধ জানায়।
অভিযান শেষে দেখা যায়, তালেবান যোদ্ধারা তাদের কয়েকটি সীমান্ত পোস্ট ও মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন আফগান সেনা ও ‘খারেজি’ সদস্য নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানি বাহিনীর দাবি, নুশকি সেক্টরে তালেবানের গজনালি সদর দপ্তরেও হামলা চালিয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে তালেবান ও তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিদের অনেক সদস্য নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানি বাহিনী বলছে, এই পাল্টা অভিযান শুধু জঙ্গি ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে, নাগরিকদের বিরুদ্ধে নয়। এটি পাকিস্তান ও আফগান জনগণের মধ্যে যুদ্ধ নয়, বরং তালেবান ও খারেজি গোষ্ঠীর আগ্রাসনের জবাব।