মাত্র ৭২ ঘণ্টায় ছয়টি দেশে সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লক্ষ্যবস্তু ছিল ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, কাতার ও ইয়েমেন।
প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৪০:৩৯
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মাত্র ৭২ ঘণ্টায় ছয়টি দেশে সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লক্ষ্যবস্তু ছিল ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, কাতার ও ইয়েমেন। এই হামলায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় সোমবার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন ত্রাণ সরবরাহকারী বেসামরিক ব্যক্তি। পরদিন আরও ৮৩ জন নিহত এবং ২২৩ জন আহত হন।
কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার হামাসের একটি অফিস লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এই ঘটনায় নিহত হন অন্তত ৬ জন, যাদের মধ্যে হামাস নেতার ছেলে হুমাম আল-হাইয়া, তার তিন দেহরক্ষী এবং এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন। হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব এ ঘটনায় অক্ষত রয়েছেন।
লেবাননের বেকা ও হারমেল জেলায় সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হন। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলাটি হিজবুল্লাহর অস্ত্র গুদাম ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে করা হয়েছে।
সিরিয়ায় সোমবার রাতে হোমস ও লাতাকিয়ায় একাধিক সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালানো হয়। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার সরাসরি হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় হামলার পরিমাণ বেড়েছে।
তিউনিসিয়ায় সোমবার সিদি বো সাইদ বন্দরে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রধান জাহাজ ‘ফ্যামিলি বোটে’ ড্রোন হামলা চালানো হয়। আগুন ধরে গেলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে গাজামুখী নৌবহরে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আল-জাওফ প্রদেশে বুধবার বিমান হামলায় ৩৫ জন নিহত ও ১৩১ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক রয়েছেন।
২০২৫ সালের শুরু থেকে কাতার ইসরায়েলের সপ্তম হামলার শিকার। গাজা আগ্রাসনের ৭০২তম দিনে গত সোমবার এই ধরণের হামলার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।