ভুয়া খবর ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের উত্তাপে পদত্যাগ কেপি শর্মা ওলির; নেপালের তরুণ প্রজন্মের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৪০:০২
নেপালে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন সন্দীপের মতো তরুণরা। গত সপ্তাহে সরকার ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর আন্দোলনকারীরা তা দমনমূলক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখেন। তবে নিষেধাজ্ঞা আন্দোলনকে থামাতে ব্যর্থ হয়। ভাইবার ও টিকটক ব্যবহার করে বিক্ষোভ ডাক দেওয়ার পর সংঘর্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
টানা তিন মাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা চালানো তরুণদের আন্দোলন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী কাঠমান্ডু সহ দেশের বিভিন্ন শহরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ সরকারের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালের দুর্নীতির মাত্রা এবং বৈষম্য তরুণদের মধ্যে অসন্তুষ্টি বৃদ্ধি করেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচকে নেপাল ১৮০ দেশের মধ্যে ১০৭তম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০% মানুষ দরিদ্র এবং ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২২% বেকার। দেশের ধনী-গরিব বৈষম্যও চোখে পড়ার মতো।
বিক্ষোভের মধ্যে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহসহ বিভিন্ন নেতা আন্দোলনকে সমর্থন দেন। প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগের পর শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
আপনাদের প্রজন্মই দেশের নেতৃত্ব দেবে। ধৈর্য ধরুন এবং প্রস্তুত থাকুন।
নেপালের এই ঘটনা বাংলাদেশে ২০২২ সালের তরুণ আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, যেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ সরকারি পদক্ষেপের পরও আন্দোলন সফলভাবে ক্ষমতাসীনদের পরিবর্তন এনেছিল।