পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও স্মার্ট সিস্টেমে রূপান্তরের পরিকল্পনা
প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২৫, ১:৪৭:২০
রাজধানী ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইলেকট্রিক রিকশার (ই-রিকশা) পরীক্ষামূলক চলাচল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রযুক্তি গবেষণায় তৈরি নতুন ডিজাইনের এই ই-রিকশাগুলো ধীরে ধীরে পুরনো রিকশাগুলোকে প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্য নিয়েই চালু হচ্ছে। নগর যানজট ও দূষণ কমাতে এবং যাত্রী ও চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
বুয়েটের ডিজাইনে প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট ই-রিকশা
নতুন ই-রিকশাগুলো বুয়েটের যন্ত্রকৌশল ও প্রকৌশল নকশা বিভাগ দ্বারা উন্নয়নকৃত। প্রতিটি যানবাহন ব্যাটারিচালিত, স্বল্প গতির ও দূষণহীন। এতে থাকছে:
বুয়েট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০০টি ই-রিকশা রাজধানীর নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চলবে।
পুরনো রিকশা সরিয়ে নতুন মানদণ্ডে রূপান্তর
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশনবিহীন, অবৈধ ও ভাঙাচোরা রিকশা অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পুরনো রিকশা নানা সময়েই দুর্ঘটনা ও যানজট বাড়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, “নতুন ই-রিকশাগুলো চালু হলে পরিবেশবান্ধব নগর পরিবহন গড়ার পথ প্রশস্ত হবে। একদিকে যেমন দূষণ কমবে, অন্যদিকে শহরের চিত্রও আধুনিক হবে।”
পরিবেশ ও নগর পরিকল্পনায় ইতিবাচক প্রভাব
নির্বাহী প্রকৌশলী ও নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, ই-রিকশা ঢাকার নগর পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। শহরের বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, জ্বালানির ওপর নির্ভরতা সবই একসাথে কমিয়ে দেবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালক বলেন,
এই উদ্যোগ সফল হলে পরিবেশগত ও সামাজিক উভয় দিক থেকেই এটি হবে একটি মডেল প্রকল্প।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও চালকদের প্রশিক্ষণ
পুরনো রিকশাচালকদের জন্য থাকবে পুনঃপ্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি। প্রশিক্ষণ নিয়ে যারা নতুন ই-রিকশা চালাতে আগ্রহী, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লাইসেন্স দেওয়া হবে।
রিকশা ইউনিয়নের এক নেতা বলেন,
পুরনো রিকশা বন্ধ হোক, তবে চালকদের রোজগার যেন বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।