আন্তর্জাতিক নারী ফুটবলে মিয়ানমারকে হারিয়ে জয়ে সূচনা করলো বাংলাদেশ। ম্যাচজুড়ে নজর কাড়লেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১:৫১:১৮
প্রথমার্ধের ১৮তম মিনিটেই ফ্রি কিক থেকে রক্ষণ দেয়ালে প্রতিহত হওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচু শটে জাল খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা। দ্বিতীয়ার্ধে ৭২তম মিনিটে আবারও দুর্দান্ত বাঁ-পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ম্যাচজুড়ে রক্ষণে দুর্দান্ত ছিলেন শামসুন্নাহার সিনিয়র ও আফঈদা, আর গোলপোস্টে ছিলেন অটল প্রাচীর রুপনা চাকমা বারবার মিয়ানমারের ফরোয়ার্ডদের আটকে দিয়েছেন তিনি।
বড় ব্যবধানে শীর্ষে বাংলাদেশ
এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয় তুলে নিল পিটার বাটলারের শিষ্যরা। আগের ম্যাচে বাহরাইনকে ৭–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৮–০ গোলে হারানো মিয়ানমার পড়ে গেল ৩ পয়েন্টে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী শনিবার বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে তুর্কমেনিস্তানের। সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটলে, প্রথমবারের মতো এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে বাংলাদেশ যা নারী ফুটবলের ইতিহাসে নতুন এক যুগের সূচনা করবে।
পরিসংখ্যানের আলোকে জয়
মাঠে লড়াই, মন জয়ের গল্প
ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখিয়েছে দুই দল। মনিকা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, আফঈদাদের সৃষ্ট আক্রমণ আর প্রতিপক্ষের চাপের বিপরীতে ছিল অসম সাহস। শেষদিকে মিয়ানমার একটি গোল শোধ করলেও, আত্মবিশ্বাসী রক্ষণ বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছে। শেষ বাঁশির পর মুখে প্রশান্তি, চোখে বিজয়ের দীপ্তি নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচ শেষে শুধু একটি বাক্যই প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল "আমরাও পারি!"
এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জেতা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের আত্মবিশ্বাস, অব্যাহত পরিশ্রম ও ভবিষ্যতের দিকে এক দৃঢ় পদক্ষেপ।
স্বপ্ন এখন খুব কাছেই। এবার ইতিহাস লেখা শুধু সময়ের অপেক্ষা।