তথ্য সুরক্ষায় গাফিলতি ঝুঁকিতে নাগরিকের জমি-সম্পত্তির নথি ও জাতীয়
 
                            প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৫, ৯:১৩:২৩
রাজউকের বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালাতে ব্যবহৃত ওয়েবসাইট ও সার্ভার অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারির অভাব এবং ত্রুটিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে জমির অনুমোদন, খতিয়ান যাচাই, ডিজিটাল ম্যাপিং ও প্ল্যান পাস সংক্রান্ত বহু তথ্য বর্তমানে অনলাইনে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
"রাজউকের সার্ভারে কোন ধরনের এনক্রিপশন নেই, এমনকি ব্যাকআপ সিস্টেমও অনিয়মিত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিপরীতে থাকা এই অব্যবস্থাপনা থেকে যেকোনো সময় বড় ধরনের তথ্যফাঁস ঘটতে পারে।"
তথ্য চুরির শঙ্কা:
এ বছরের শুরুতে রাজউকের একটি সাবডোমেইন থেকে হ্যাকাররা কয়েক হাজার নথির তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও এখনো বড় কোনো সাইবার আক্রমণের খবর মেলেনি, তবুও নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী না করলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সরকারি অবস্থান:
রাজউকের আইটি শাখা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ‘তেমন গুরুতর নয়’ বললেও ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থা বিডি-সার্ট ইতিমধ্যে রাজউকের সার্ভারে কয়েকটি নিরাপত্তা ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এখনই সার্ভার মাইগ্রেশন, ডেটা এনক্রিপশন ও রেগুলার অডিট চালু না করলে ভবিষ্যতে ভোগান্তি বাড়বে।
জনসচেতনতার অভাব:
বেশিরভাগ সাধারণ নাগরিক এখনও অনলাইন জমির ফাইলিং সিস্টেমের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানেন না। ফলে জমি নিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে, বিশেষত যেসব ফাইল শুধুমাত্র অনলাইনেই সংরক্ষিত।
রাজউকের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তার এ ধরনের অব্যবস্থাপনা কেবল তথ্য চুরির ঝুঁকিই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকেও বড় হুমকি হতে পারে। সময় থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবস্থা না নেয়, তবে ভবিষ্যতে এর খেসারত দিতে হতে পারে সরকার ও নাগরিক উভয়কেই।