নুরুল হক নুরের চিকিৎসার জন্য ঢামেকে উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩০:৫৯
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। শনিবার সকালে তিনি জানান, নুরুল হকের মাথায় আঘাত রয়েছে এবং তার নাকের হাড় ভেঙে গেছে। এর ফলে শুক্রবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। বর্তমানে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে এবং জ্ঞান ফিরেছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত বলা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে শনিবার সকালে নুরুল হকের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মেডিকেল বোর্ড আলোচনা করবে।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। জাপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। গণ অধিকার পরিষদ জানিয়েছে, মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় জাপার নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। তবে জাপা পক্ষ বলেছে, মিছিলকারীদের ওপর তাদের নেতা-কর্মীরা হামলা চালানো হয়েছিল।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, জাপার হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সভাপতি নুরুল হক, তিনিসহ নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর লাঠিপেটা চালায়। এতে নুরুল হক গুরুতর আহত হন এবং ছয়জনসহ শতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
অন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানান, ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। তবে কিছু নেতা-কর্মী অনুরোধ উপেক্ষা করে মব সহিংসতার মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ওপর আক্রমণ চালায়, রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়ায়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়। জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন।