বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র বললেন ‘আন্দোলনের সময় সাধারণ মানুষের সহায়তা ছিল বেশি, সমন্বয়করা ব্যর্থ হয়েছেন’
প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২৫, ২:৩৭:৪৪
রাজধানীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে অভিযুক্ত ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ের অপব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। রবিবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনের সময় সমন্বয়কদের একটি বড় তালিকা থাকলেও তাদের অধিকাংশকে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে রিচ করা সম্ভব হয়নি।’’
উমামা ফাতেমা বলেন,
আন্দোলনের সময় ৫২ জন, পরে ৬২ জন এবং শেষে ১৫৮ জনের একটি সমন্বয়ক তালিকা তৈরি হয়। কিন্তু এদের মধ্যে অধিকাংশ কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেননি। আমি যখন বিপদে পড়ি, তাদের রিচ করতে পারিনি। বরং সাধারণ মানুষের সহায়তা বেশি পেয়েছি।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে সমন্বয়ক পরিচয়ে লোকজন দখলদারিতে নেমে পড়েছে। আগে যারা এ পরিচয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতেন না, তারাও এখন সমন্বয়ক সেজে দখল-চাঁদাবাজিতে লিপ্ত।’’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘খোঁয়ারি উপন্যাসে রক্ষী বাহিনী যেভাবে জায়গা দখল করত, এখন মনে হচ্ছে, সমন্বয়ক পরিচয়ে ঠিক তেমন ‘বাহিনী’ গড়ে উঠেছে। একেক জায়গায় গিয়ে দখল করছে, যা আতঙ্কজনক।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্দোলনের সময় সমন্বয়ক পরিচয়ের প্রয়োজন ছিল কিছুটা, যাতে বিপদের সময় কাউকে কল করে সহায়তা নেওয়া যায়। তবে বাস্তবে এদের অনেককেই পাওয়া যায়নি। অথচ সাধারণ মানুষ তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এখন সমন্বয়ক পরিচয় অস্ত্র হয়ে গেছে।’’
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এর পেছনে সমন্বয়কদের ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ককেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।