পুরনো বিরোধের জের ধরে দায়ের হওয়া মামলায় হঠাৎ গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া
প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১:০৯:৫৭
জুলাই গণ-আন্দোলনকেন্দ্রিক ঢাকার মিরপুর ও ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা পৃথক দুই হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু এবং দলের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস আব্দুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত দুই আসামির পৃথক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মিরপুর মামলা: শিক্ষার্থী সুজন হত্যার অভিযোগে আমুকে গ্রেপ্তার
মিরপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আমির হোসেন আমুকে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলসের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ মিরপুর থানা এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। এ সময় বিক্ষোভে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বড় ভাই সুলতান মাহমুদ গত বছরের ২৩ আগস্ট মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন এ মামলায় আমুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত সোমবার তা মঞ্জুর করেন।
ধানমন্ডি মামলা: আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি হত্যায় গোলাপের নাম
ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা অপর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপকে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ধানমন্ডির ঝিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গোলাপ ওই মামলায় ২৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফজলুল হক খান আদালতে গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। আদালত উভয় আসামিকে শুনানিতে স্বশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার তারা আদালতে হাজির হন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।