বিএনপির বছরে আয় ১৫ কোটি ৯৬ লাখ, ব্যয় ছিল মাত্র ৪.৮০ কোটি! প্রশ্ন উঠছে কোথায় গেল বাকি টাকা?

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৪ সালের পঞ্জিকা বছরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জমা দিয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, দলটির মোট আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা। ব্যাংকে জমা রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।

রবিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এই হিসাব নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আখতার আহমেদের কাছে হস্তান্তর করে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। হিসাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, “যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকতে পারে। এসব মোকাবিলায় সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। জনগণ চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা আশা করি, বর্তমান কমিশন সেই প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে।” আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “অতীতে মেরুদণ্ডহীন লোকদের নির্বাচন কমিশনে বসিয়ে কারচুপির নির্বাচন আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ।”

এর আগে শনিবার (২৬ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল রবিবার নির্বাচন কমিশনে এসে ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণী জমা দেবে। গত ৭ জুলাই ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তাদের কাছে কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো দল টানা তিন বছর হিসাব না দিলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫১টি হলেও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এ বছর ৫০টি দলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।