সংকটের সমাধান কেবল মুখোমুখি সংঘর্ষ নয় বরং ছাড় দিয়ে আলোচনার পথেই আসতে পারে সমঝোতা, বলছে ঐকমত্য কমিশন।
প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২৫, ২:০৭:৩৫
সব বিষয়ে ১০০ শতাংশ অবস্থানে অনড় থেকে সংলাপ চলে না” মন্তব্য করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন খানিকটা ছাড় দিয়ে এক জায়গায় আসতে। রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১২তম দিনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের সূচনায় এ আহ্বান জানান তিনি।সংলাপে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
আলোচনার শুরুতেই আলী রীয়াজ বলেন,
“সবাই নিজের অবস্থান থেকে বলছে সারা দিন, সারা বছর বলছে। তাহলে এই সংলাপের অর্থ কী? আলোচনা তখনই অর্থবহ হয় যখন পক্ষগুলো কিছুটা নমনীয়তা দেখায়, ছাড় দেয়।”
তিনি বলেন,
“আমরা আপনাদের বক্তব্য গুরুত্বহীন বলছি না বরং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে কোথাও না কোথাও একটি মিলনের বিন্দুতে আসতেই হবে। না হলে বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে একতরফা সিদ্ধান্ত, যেখানে ক্ষমতা থাকবে এক ব্যক্তির হাতে যা গণতন্ত্রের জন্য আশঙ্কাজনক।”
“রাষ্ট্রপতি নিয়োগে দুই ব্যক্তির সম্মতি এটা গণতন্ত্র নয়”
রাষ্ট্রপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আলী রীয়াজ। বলেন, “বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন। ফলে রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি মাত্র দুই ব্যক্তির সম্মতিতে নিয়োগ পাচ্ছেন। এটা একরকম রোমান মডেলের মতো যেখানে একজনের সিদ্ধান্তই রাষ্ট্র নির্ধারণ করে দেয়।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতের জন্য গণতন্ত্র নয়, একনায়কতন্ত্রই নিয়মে পরিণত হবে।”
ঐকমত্য গঠনে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান, মতামত ও পরামর্শ শুনে একটি যৌথ প্রস্তাবনা তৈরির লক্ষ্য রয়েছে।আজকের সংলাপের সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।