রাজনৈতিক আশ্রয় না পেলে ছাত্রদের ওপর হওয়া হিংস্রতা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ সম্ভব কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২৫, ৩:৩১:২১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত নৃশংস খুন, হামলা ও মামলা মূলত একটি রাজনৈতিক শেল্টারের (আশ্রয়ের) কারণে ঘটছে। রাজনৈতিক আশ্রয় ছাড়া এসব ঘটনার বাস্তবতা সম্ভব নয় বলে তারা উল্লেখ করেছেন। শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক শেল্টারের দায়দায়িত্ব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা তীব্র প্রতিবাদ জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ) বলেন,
“প্রতিটি খুন, হামলা এবং মামলার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন কাজ করছে। এই রাজনৈতিক শেল্টারই এসব দানবদের তৈরি করছে। গতকাল একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে সোহাগের মৃতদেহের ওপর নাচানো হচ্ছে এই ধরনের বর্বরতা শুধু জাহেলিয়াত যুগেই ঘটত, আজ বাংলাদেশে সেই যুগ ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে।”
রশিদুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন,
“ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন এবং বিএনপির অনেক নেতাই স্বৈরাচারী শাসনামলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নিজেদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিলেন। আমরা কাউকে নতুন করে ফ্যাসিবাদী হতে দেব না।”
তিনি বলেন,
“খুনের প্রতিবাদে মিছিল হলেও সেখানে প্রতিবাদকর্তাদের ‘শিবির’, ‘জঙ্গি’, ‘বিএনপিবিরোধী’, ‘বাংলাদেশবিরোধী’, ‘হাসিনাপন্থী’, ‘ছাত্রলীগ’ ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে বিতর্কিত করার পন্থাই এখন প্রধান সিলেকশন পদ্ধতি, যা ‘হাসিনার স্টাইল’।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল হাসান জানান, আজ সন্ধ্যা ৭টায় শাহবাগ মোড়ে মশাল মিছিলের মাধ্যমে এই খুনের প্রতিবাদ জানানো হবে। পাশাপাশি তারা সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম ও ব্যানারে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।