'স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে জনগণের শক্তিই বড় অস্ত্র' বললেন এনসিপি চেয়ারম্যান
প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০২৫, ১:৫১:০৭
ঢাকা, ১০ জুলাই ২০২৫ ‘জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্বার্থে অবিচল থেকে একটি সত্যিকারের বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করাই এখন সময়ের দাবি’ এ কথা বলেন জাতীয় নাগরিক আন্দোলন (এনসিপি)-এর চেয়ারম্যান নাহিদ ইসলাম।
আজ রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নাহিদ ইসলাম বলেন, “জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। তারা ফ্যাসিবাদ, দলীয়করণ এবং রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বাইরে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র দেখতে চায়। সেই বাংলাদেশ গঠনে আমরা জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণের পক্ষেই রাজনীতি করি।”
তিনি আরও বলেন,
বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি মানে হলো বাংলাদেশের জনগণ, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা রক্ষা। আমাদের রাজনীতি হবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে, কোনো বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নয়।
সভায় এনসিপি মহাসচিব হাসনাত জামিল বলেন, “নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের আন্দোলন জনগণের শক্তিকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে চলছে। বিএনপি-আ.লীগের ব্যর্থতা এবং স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তরুণরা আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে জনগণই হবে সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি।”
জনগণের কথা বললেই রাষ্ট্রদ্রোহীর তকমা?
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “যখনই কেউ জনগণের স্বার্থে কথা বলে, তখন তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বা ষড়যন্ত্রকারী বানিয়ে ফেলা হয়। আমরা এই দমননীতির অবসান চাই। রাজনীতি হবে জনগণের, কৌশল নয়, বরং আদর্শই হবে আমাদের পথচলার ভিত্তি।”
আগামী নির্বাচনে ৪০% নতুন ভোটার বড় ভূমিকা রাখবে
নাহিদ ইসলাম মনে করেন, ২০১৪ সাল থেকে যেসব তরুণ প্রথমবারের মতো ভোট দেবে, তারা হবেন নির্বাচনের গেম চেঞ্জার। “এই নতুন প্রজন্ম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, তারা চায় অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র। এনসিপি তাদের জন্য একটি বিকল্প তৈরি করতে কাজ করছে,” বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন:
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুনতাসির মাহমুদ, সমাজকর্মী শারমিন সুলতানা, যুব নেতা রফিক ইমরান, এনসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম হোসেনসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক বোধের সূচনা করছে, যেখানে ‘জনগণই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু’ এই মন্ত্রে বিশ্বাসী একটি তরুণ নেতৃত্ব দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় রয়েছে।