জনগণের ঐক্য ও বিকল্প চিন্তার আহ্বান, সামাজিক ব্যবসায় ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ
প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২৫, ৪:১৬:১৬
জাতীয় সংলাপ ও বিকল্প ভাবনার উদ্যোগ নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেছেন,
বাংলাদেশে আর যেন কখনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই দায়িত্ব কেবল রাজনৈতিক দলের নয়, নাগরিক সমাজ ও তরুণদেরও।
শনিবার রাজধানীর একটি বেসরকারি মিলনায়তনে আয়োজিত “সামাজিক ব্যবসা ও ন্যায্য রাষ্ট্র ভাবনা” শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সামাজিক ব্যবসায় বিকল্প পথের সম্ভাবনা
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন,
ব্যক্তিকেন্দ্রিক নেতৃত্ব ও লোভের রাজনীতি আমাদের রাষ্ট্রকে বারবার হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই সামাজিক ব্যবসার মতো মডেলকে গুরুত্ব দিতে হবে, যেখানে মানুষের কল্যাণই হবে মূল উদ্দেশ্য, মুনাফা নয়।
তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান ‘অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখতে’, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি মানবিক ও গণতান্ত্রিক সমাজ পায়।
রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে মত
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দরকার রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কার, যা জনগণের ওপর নির্ভর করবে, ব্যক্তির ওপর নয়। স্বৈরতন্ত্র ঠেকাতে চাই জনঅংশগ্রহণ, চাই দায়িত্বশীলতা।”
সম্মেলনে বক্তাদের মূল বক্তব্য
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদরাও স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তাঁরা বলেন, “রাষ্ট্র যদি কেবল শাসনযন্ত্রের হাতে থাকে, তাহলে জনগণের চেতনা দুর্বল হয়ে পড়ে।”
সামাজিক ব্যবসা ভবিষ্যতের রাষ্ট্র গঠনের একটি নতুন ভিত্তি হতে পারে।