সংবিধান, নির্বাচন পদ্ধতি ও ক্ষমতার ভারসাম্য বিষয়ে মতবিনিময়
প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২৫, ১:১৩:৫০
বৈঠকে সাবেক আমলা, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, আইন বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের কাঠামো পুনর্গঠন এখন জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
সংবিধান সংস্কারে ভিন্নমত
সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একাংশ মনে করেন, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের চেতনা অনুসারে বর্তমান কাঠামোতে ফিরতে হলে প্রয়োজন সাংবিধানিক ও আইনি সংস্কার। তবে অন্য অংশটি বিষয়টি বাস্তবায়নযোগ্য কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
এক সদস্য বলেন,
সংবিধানে কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন, যেমন সংসদীয় বনাম রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, ও বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা।
নির্বাচন পদ্ধতির প্রশ্নে আলোচনা তীব্র
বর্তমান ‘একদলীয় প্রার্থিতন্ত্র’ ও বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন কাঠামো নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। কয়েকজন সদস্য সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে মত দেন। অন্যদিকে কিছু অংশ এ ব্যবস্থাকে অতীতের ভুল হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।
কমিশনের সদস্য সচিব বলেন,
আমরা চাই একটি বাস্তবসম্মত এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কাঠামো, যেখানে জনগণের আস্থা ফিরবে।
ক্ষমতার ভারসাম্য এবং স্বশাসনের গুরুত্ব
আলোচনায় কেন্দ্র-অঞ্চল সম্পর্ক, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ নিয়েও দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। বিশেষত ঢাকা কেন্দ্রিক প্রশাসনিক ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন চেয়ে অঞ্চলভিত্তিক ক্ষমতা বণ্টনের আহ্বান জানানো হয়।
আগামী করণীয় ও সম্ভাব্য সুপারিশ
ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা জানান, সাত দিনের আলোচনা শেষে একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরির কাজ শুরু হবে। সেখানে নির্বাচনি ব্যবস্থার কাঠামো, সংবিধানের সংশোধন চাহিদা এবং প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকবে।