প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৮:৪৩
অন্তর্বর্তী সরকারের এখন পর্যন্ত দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। তবে নির্দিষ্ট দিনের কথা না জানা গেলেও নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচনের নিরপক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ এখন পর্যন্ত দুজন ছাত্র উপদেষ্টা সরকারেই রয়ে গেছে। অনেকের ধারণা তারা একটি দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই এখনো সরকারে রয়েছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টাকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আরও সময় নিতে চেয়েছেন। এই দুই উপদেষ্টা হলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আরও জানা গেছে, মাহফুজ আলম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তিনি সরকারে থাকতে চান। আসিফ মাহমুদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে পারেন। অবশ্য কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ গত ১৪ আগস্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন নামব, আমি জানি না।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রধান উপদেষ্টাসহ ২৩ জন। যাদের ভিতর রয়েছেন দুজন ছাত্র প্রতিনিধি।
সূত্র বলছে, ছাত্র প্রতিনিধিদের কেউ না কেউ উপদেষ্টা পরিষদে শেষ পর্যন্ত থাকুক, এটা চান ছাত্র উপদেষ্টারা। তারা মনে করছেন, না থাকলে উপদেষ্টা পরিষদে কেউ কেউ তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারেন।