দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য, ট্যারিফ কাঠামো সহজীকরণে ইতিবাচক সাড়া
প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২৫, ১০:১০:০২
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে। বিশেষ করে শুল্ক (Tariff) ও অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয়ে দুই দেশই ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক (MoU) চূড়ান্ত করার জন্য যৌথ টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাণিজ্য বাধা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো আলোচনায়
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আলোচনা হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে
বাংলাদেশের প্রস্তাব ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল এবং রপ্তানি খাতে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক রেয়াতের প্রস্তাব পুনরায় উত্থাপন করে। এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, নিরাপত্তা মান ও কাস্টমস প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের অগ্রগতি জানতে চায়।
বাংলাদেশ বাণিজ্য সচিব বলেন,
আমরা আশাবাদী, পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রেখে একটি কাঠামোগত চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব এইবার কিছুটা নমনীয়।
মার্কিন দূতাবাসের মন্তব্য
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, “যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ একটি নিরাপদ, মানবাধিকার সংরক্ষিত ও ন্যায্য বাণিজ্যিক অংশীদার হোক। আলোচনা ইতিবাচক, তবে আরো কিছু প্রক্রিয়াগত উন্নয়ন প্রয়োজন।”
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন,
এই চুক্তির বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। বিশেষ করে, বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ আকর্ষণে এটি সহায়ক হবে। তবে শ্রম অধিকার ও ট্যারিফ শর্তে কিছু সমন্বয়ের দরকার পড়বে।