বদলে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারা। লিখিত পরীক্ষার কাঠামো থেকে শুরু করে প্রিলিমিনারির সময়সীমা সবকিছুতেই থাকছে নতুন মাত্রা
প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২৫, ১২:১৩:০৪
পরীক্ষা মানেই পরিবর্তন?
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষাকে ঘিরে ঘোষণা করেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সময়সীমা বাড়িয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে, আগে যা ছিল ১ ঘণ্টা। প্রশ্নের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এসেছে ‘স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন স্কোরিং’। অর্থাৎ, এখন আর শুধু নম্বর নয়, বরং উত্তরদাতার তুলনামূলক দক্ষতাও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকরা কী বলছেন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারহানা কবীর বলেন, “এই পরিবর্তন আসলে গুণগত যাচাইয়ের দিকে একটা ধাপ। এতে কেবল মুখস্থবিদ্যায় ভরসা করে সফল হওয়া কঠিন হবে।” বিশ্বের বিভিন্ন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ধরন বিবেচনায় এটি একধরনের alignment বলা যায়। ভারতের UPSC, যুক্তরাজ্যের Civil Service Fast Stream এবং অস্ট্রেলিয়ার APSC সবগুলোতেই গত এক দশকে মূল্যায়নের কাঠামো বদলে গেছে।
লিখিত ও মৌখিকেও নজরদারি
৪৭তম বিসিএস থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তরপত্র যাচাই হবে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। ডিজিটাল স্ক্যানিং ও অ্যানোনিমাইজড স্ক্রিপ্ট যাচাইয়ের ফলে পরীক্ষকের পক্ষপাতিত্ব বা ভুল কমবে বলে মনে করছে পিএসসি। মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থী পরিচয় গোপন রেখে, শুধু রোল নম্বর ও মেধাক্রম দিয়ে নম্বর দেওয়ার নির্দেশনাও আসতে পারে বলে জানা গেছে। ফলে, নাম, ঠিকানা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে কোনো পক্ষপাতিত্বের সুযোগ কমে যাবে।
প্রস্তুতিতে নতুন গতি আনবে?
৪৭তম বিসিএসের জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই নিয়ম কিছুটা চাপের হলেও, একদিকে স্বচ্ছতা ও সুযোগের দিক থেকেও তা আশাব্যঞ্জক। সময় বেশি পেলে প্রশ্ন বিশ্লেষণ ও ভাবনার সময় বাড়বে, যা ভালো প্রস্তুতির ফল দেয়।
“শুধু গাইডবই মুখস্থ করে নয়, বিশ্লেষণ ও বাস্তবজ্ঞানকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে এখন।”—ড. ফারহানা কবীর
বদলের দিকগুলো সংক্ষেপে:
শেষ কথা:
৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা শুধু আরেকটি নিয়োগ পরীক্ষা নয় এটি হতে চলেছে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের এক মাইলফলক। এই নিয়ম কেবল নিয়োগ নয়, প্রশাসনে দক্ষতার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাইয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ।