বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধে গাফিলতি, ব্যাংক খাতে উদ্বেগ বাড়ছে
প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:২১:২১
দেশের ৩৫টি ব্যাংকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ থেকে বিরত থাকার অভিযোগে হাজারো কোটি টাকার খেলাপি লোন চিহ্নিত হলেও যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ইচ্ছাকৃত খেলাপির চিত্র
ব্যাংক মন্ত্রণালয়ের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ৩৫ ব্যাংকে মোট ইচ্ছাকৃত খেলাপির সংখ্যা কয়েক হাজার। তারা ঋণ নিয়ে যথাসময়ে পরিশোধ না করে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সংস্থান বিপন্ন করছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন,
এমন পরিস্থিতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করে।
কার্যকর পদক্ষেপের অভাব
ব্যাংকগুলো খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে কিংবা দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি করছে। নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তৎপরতা স্বল্প থাকায় পরিস্থিতি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।
এক ব্যাংক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন,
কয়েকটি বড় খেলাপি অনেক সময় প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ এড়িয়ে যায়, অথচ আমাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ থাকার পরও মামলা অগ্রসর হচ্ছে না।
অর্থনৈতিক প্রভাব ও ঝুঁকি
খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকগুলোর খুঁটি শক্ত হচ্ছে না, যা নতুন ঋণ প্রদানে বাধা সৃষ্টি করছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত অর্থায়নে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
ঋণ পরিশোধে স্বচ্ছতা ও কঠোর আইনি ব্যবস্থা না নিলে আর্থিক সেক্টরে সংকট আরো গভীরতর হবে।
সরকারি উদ্যোগ ও প্রস্তাবনা
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। তারা দ্রুত ঋণ আদায়ের জন্য নতুন আইনি কাঠামো ও কঠোর নজরদারি বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, খেলাপিদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা চলানোর জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব উঠেছে।