ঘরে ঘরে কাঁঠালের বিচি ফেলে দেওয়ার যুগ শেষ। আধুনিক গবেষণা বলছে-
প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৫, ১:৪৭:৩৫
পুষ্টিগুণের আধার
১ কাপ সিদ্ধ কাঁঠালের বিচিতে থাকে প্রায়:
ডা. রুবাইয়াত শারমিন, নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ বলছেন “বিচিতে থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ হজমে সহায়ক এবং এটি ধীরে ধীরে রক্তে শর্করা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী।”
বিশ্ব দরবারে কাঁঠালের বিচি
ভারতের কেরালা, ভিয়েতনাম এমনকি থাইল্যান্ডেও কাঁঠালের বিচি দিয়ে তৈরি হয় স্ন্যাকস, ফ্লাওয়ার ও প্রোটিন বার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্ল্যান্ট-বেইসড প্রোটিন বাজারে “Jackfruit Seed Flour” নামে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পণ্য। বিশ্বব্যাপী সুপারফুডের খাতায় কাঁঠালের বিচিকে নিয়ে ভাবছে Harvard School of Public Health-এর গবেষকেরাও।
“যা আমরা ফেলি, পশ্চিমারা সেটি কিনে খায় গবেষণা করে।” খাদ্য উদ্যোক্তা সাফায়েত রহমান
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা?
দেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপন্ন হয়। এর সঙ্গী হিসেবে রয়েছে কোটি কোটি বিচি, যার সঠিক প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি ব্যবস্থা গড়ে তুললে দেশীয় সুপারফুড ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হতে পারে। কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. হায়দার আলী বলেন, “বিচি শুকিয়ে, গ্রাইন্ড করে একে ‘পুষ্টিকর বেকিং ফ্লাওয়ার’ হিসেবেও রপ্তানি করা সম্ভব।”
শেষ কথা
যে বিচিকে আমরা ফেলি বর্জ্য ভেবে, সেটিই হয়ে উঠতে পারে দেশের পুষ্টি বিপ্লবের কাণ্ডারি। দরকার শুধু সচেতনতা, গবেষণা ও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ।
একটা বিচি হয়তো একটা দেহকে সুস্থ রাখতে পারে আর হাজারো বিচি হতে পারে পুষ্টিনির্ভর আগামীর অর্থনীতি।