নিহত কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের কফিন প্রকাশ্যে আনলো ইরান
তেহরানে রাষ্ট্রীয় শোকানুষ্ঠানে হাজারো মানুষ, শক্তির বার্তা দিয়ে অনুষ্ঠান
প্রকাশিত :
২৮ জুন ২০২৫, ৪:২১:৪১
অনুষ্ঠানের বৃত্তান্ত
- কফিনগুলোকে রাজা পতাকা দিয়ে ঢাকা হয়ে Enghelab/Azadi স্কয়ারের মধ্য দিয়ে খেলা হয় দূরদূরান্ত থেকে লাখো মানুষ অংশ নেয় ।
- রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও শীর্ষ সেনা সদস্য উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মসৌদ পেজেশকিয়ান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কুদ্স বাহিনীর প্রধান ।
- আয়াতুল্লাহ খামেনিই এই শোকানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না; তবে তিনটি পূর্বনির্ধারিত বার্তা ভিডিও মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ।
লোকসমাগম ও প্রতিক্রিয়া
- রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ও রিপোর্ট অনুযায়ী উপস্থিতি ছিল লাখাধিক; শোকানুষ্ঠানকে “historic” ও “massive” আখ্যা দেওয়া হচ্ছে ।
- অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শক্তিশালী স্লোগান উঠছে, যেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে “Death to America” ও “Death to Israel” ।
ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহত
- সংঘর্ষের প্রথম দিনেই (১৩ জুন) নিহত হন উচ্চতর কমান্ডারদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক পারমাণবিক বিজ্ঞানীর সহিত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ বাঘেরি, জেনারেল হোসেইন সালামী, আমির আলি হাজিজাদেহ প্রমুখ ।
- সরকার দাবি করছে সংঘর্ষে ইরানে প্রায় ৬১০–৬২৭ জন নিহত ও প্রায় ৪,৭০০–৪,৯০০ জন আহত ।
কৌশলগত ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট
- কফিন প্রদর্শনের মাধ্যমে ইরান একটি আধা-সামরিক শক্তির বার্তা প্রদান করছে, একই সঙ্গে প্রকাশ্যে সংহতি, রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও অপেক্ষমাণ অবস্থান নিশ্চিত করছে।
- তেল ও পারমাণবিক বিষয়ক কৌশলে আঘাত ও ধারাবাহিকতার মধ্যেই তা বার্তা দিচ্ছে—Iran নিজাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করছে, তবে প্রস্তুত অবস্থায় আছে ।
নর-মানবিক দিক
- রাষ্ট্রীয় Funeral procession-এ পরিবার ও সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন, যার মাধ্যমে দেশিয় জনমতে সমর্থন প্রকাশ পায়; তবে কিছু স্বাধীন রিপোর্টে রাজনীতিক, ধর্মীয় ইস্যু হিসেবে এটি ছবিতে ওঠেছে।
- উচ্চস্তরের বিজ্ঞানীদের হত্যার ফলে ইরান পরমাণু প্রকল্পে সাময়িক সংকট ও আন্তর্জাতিক নজর বৃদ্ধি পেয়েছে; তবে রাষ্ট্রের দৃঢ়সংকল্প রক্ষার বার্তা দেয়া হয়েছে ।