ইরানের পরমাণু হুমকি দমন করে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইসরাইল।
প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২৫, ২:০৯:৩২
অবশেষে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল। তবে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হলে তারা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। দেশটির সরকারি বিবৃতির বরাতে অনলাইন বিবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে ইসরাইল জানায়, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তারা তাদের "প্রাথমিক লক্ষ্য" অর্জন করেছে। বিশেষ করে ইরানের তাৎক্ষণিক অস্তিত্বগত হুমকি হিসেবে বিবেচিত পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
ইসরাইল আরও দাবি করে, তারা ইরানের সামরিক নেতৃত্বের ওপর প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে এবং তেহরান পরিচালিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করেছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনী তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সরকারি স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে ‘কয়েক শত বাসিজ সদস্যকে হত্যা’ করেছে। এই বাসিজ বাহিনীকে ইরান সরকার সাধারণত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও বিক্ষোভ দমন কাজে ব্যবহার করে থাকে।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তারা ইরানের আরেকজন সিনিয়র পারমাণবিক বিজ্ঞানীকেও হত্যা করেছে। এ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে "ইরানের পরমাণু হুমকি নির্মূলে" সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে ইসরাইল।
এর আগে বাংলাদেশ সময় রাত ৪টায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরান ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এরপর সকাল ১১টা ৮ মিনিটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা নিশ্চিত করেন। সকাল ১২টা ১০ মিনিটে ইসরাইল জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
সোমবার দিবাগত রাতে ইরানও জানায়, ইসরাইল হামলা বন্ধ করলে তারাও পাল্টা হামলা বন্ধ করবে। তবে যুদ্ধবিরতির আগে উভয় দেশই রাতভর ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালায়।
ইরানের হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। বিবিসির সাংবাদিকদের বরাতে বলা হয়েছে, তেহরান একটি ভয়াবহ রাত পার করেছে। অন্যদিকে ইসরাইল জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় বিরশেভা শহরে অন্তত চারজন নিহত এবং ২২ জন আহত হয়েছেন।