তাদের মতে, কূটনৈতিক পথ এড়িয়ে আগ্রাসনের পথ বেছে নিয়েছে ওয়াশিংটন;
প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৫, ১২:২৩:১৭
বিশ্বজুড়ে যখন কূটনৈতিক সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জোরদার হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক আগ্রাসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে এমনই মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ইরানকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের সামরিক প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক হামলা কোনোভাবেই যৌক্তিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নেই। বরং, ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের কৌশল বেছে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ইলিয়াস বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার প্রশ্ন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোনো সরাসরি হুমকি ছাড়াই তারা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আসলে যুদ্ধ নয়, রাজনৈতিক প্রভাব, অস্ত্র বিক্রির বাজার ও চিরাচরিত আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যেই তারা এই অবস্থান নিয়েছে।”
একই মত পোষণ করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসানুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রতিটি সংঘাতের আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘বিষয়কে’ আন্তর্জাতিক সংকট বানিয়ে ফেলে। এরপর জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে কিংবা মিত্রদের সম্মতি নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করে। ইরানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।” বিশ্লেষকদের একাংশ বলছে, এই আগ্রাসন শুধু ইরান নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা, জ্বালানি বাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। তারা সতর্ক করেছেন, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে মানবিক বিপর্যয় ও শরণার্থী সংকট আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, "জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষা ও মিত্র দেশগুলোর সুরক্ষার স্বার্থেই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।"
বিশ্লেষকদের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক বিকল্প থাকা সত্ত্বেও সামরিক পথ বেছে নিয়েছে। এতে করে সংঘাত আরও গভীর হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই হস্তক্ষেপ করে একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।