প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২৫, ২:৪৫:৩৮
রাতের আঁধারে আকস্মিক হামলা
স্থানীয় সময় সোমবার গভীর রাতে ইরান থেকে নিক্ষিপ্ত কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমানবন্দরে আঘাত হানে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) দাবি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করলেও কয়েকটি সরাসরি টার্গেটে আঘাত হানে। হামলার ফলে বিমানবন্দরের আংশিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানকার বেশ কিছু ফ্লাইট সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে।
আহতদের অবস্থা ও উদ্ধার কার্যক্রম
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় আহত ১১ জনের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে তৎপর রয়েছে ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট এবং সেনা সদস্যরা। হামলার পরপরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ইরানের প্রতিক্রিয়া ও ব্যাখ্যা
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, এটি একটি পাল্টা পদক্ষেপ। তাদের ভাষায়,
“ইসরায়েলের আগ্রাসী হামলার জবাবে আমাদের সামরিক জবাব অনিবার্য।”
ইরান আরও জানায়, এই হামলা একটি সতর্কবার্তা; ভবিষ্যতে আগ্রাসন বন্ধ না হলে আরও বিস্তৃত হামলার পরিকল্পনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া
হামলার পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশ্ব নেতারা দুই পক্ষকে সংযম দেখাতে এবং সরাসরি সংঘাতে না জড়াতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, বিমানবন্দর লক্ষ্য করে সরাসরি এই ধরনের হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে, যা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।
ইরানের এই হামলা শুধু একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়, বরং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা। এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এখন নির্ভর করছে দুই দেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর।