 
                            প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১:৩৭:০৪
মাদক দমন নীতিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুসতাভো পেত্রো’র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেত্রোর স্ত্রী, ছেলে ও অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আরমান্ডো বেনেদেত্তিও রয়েছেন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ ও সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, পেত্রোর প্রশাসন মাদক কারবারিদের দমনে ব্যর্থ তো হয়েছেই, এর পরিবর্তে তাদের বিকাশের সুযোগ দিয়েছে।
এদিকে, এই নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পেত্রো সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তীব্র সমালোচনায় লিপ্ত।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ‘পেত্রো ক্ষমতায় আসার পর থেকে কলম্বিয়ায় কোকেন উৎপাদন গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল মাদক প্রবেশ করছে।’
প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট পেত্রো বলেন, তিনি দশকের পর দশক ধরে মাদকবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তার সরকার কোকা চাষের প্রসার রোধ করেছে। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের এই সিদ্ধান্ত একটি অত্যাচারী শাসনের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড।
কলম্বিয়া-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজের গবেষক হেক্টর গালেয়ানো জানিয়েছেন, বর্তমানে কলম্বিয়ায় কোকেন উৎপাদন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, কলম্বিয়ার কোকেন সাধারণত মেক্সিকান কার্টেলগুলো কিনে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করে।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তারা ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধের সহযোগী রাষ্ট্র’ হিসেবে কলম্বিয়াকে দেওয়া সনদ বাতিল করছে, যার ফলে কলম্বিয়া আর আর্থিক সহায়তা পাবে না। প্রতিক্রিয়ায় কলম্বিয়া জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করবে।
ক্ষমতায় আসার পর পেত্রো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মাদক-সংঘাতের অবসান ঘটাতে গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আনবেন। কিন্তু বর্তমানে সেই শান্তি প্রক্রিয়া অচলাবস্থায় পড়ে গেছে এবং দেশটিতে সহিংসতা বেড়েই চলেছে।