 
                            প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১১:৩৫
ভারতের রাজস্থান রাজ্যে যাত্রীবাহী বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২০ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন আরও ১৫ জন। এর মধ্যে চার নারী ও দুই শিশু রয়েছে। রাজ্যের জয়সলমির-যোধপুর মহাসড়কে মঙ্গলবার বিকেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল ৩টার দিকে ৫৭ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি জয়সলমির থেকে যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে জয়সলমির-যোধপুর মহাসড়কে বাসের পেছনের দিক থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পরে চালক সঙ্গে সঙ্গে বাস থামালেও মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
বাসে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। বাসটি দুর্ঘটনার মাত্র পাঁচ দিন আগে কেনা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। আহতদের প্রথমে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে জয়সলমিরের জওহর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যোধপুরে পাঠানো হয়।
জয়সলমির জেলা প্রশাসন জানায়, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয়। জেলা কালেক্টর প্রতাপ সিং আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় সড়ক ১২৫-এ একটি ‘গ্রিন করিডোর’ তৈরি করে আটটি অ্যাম্বুলেন্সকে পুলিশি নিরাপত্তায় দ্রুত যোধপুরে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসন নিশ্চিত করেছে, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মরদেহগুলোর বেশিরভাগ এতটাই দগ্ধ হয়েছে যে তাদের পরিচয় শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে যোধপুর থেকে ডিএনএ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদের শনাক্তের কার্যক্রম শুরু করেছে।
জেলা কালেক্টর বলেন, ‘আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার মতোই ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এরপরই মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’