 
                            প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৮:১২
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিন অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক জোয়েল মকির, ফিলিপ আগিওন ও পিটার হাওইট। উদ্ভাবন-নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য নোবেল পেয়েছেন তারা। সোমবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরস্কারটির আনুষ্ঠানিক নাম ‘দ্য সুইডিশ ন্যাশনাল ব্যাংক প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস ইন মেমরি অব আলফ্রেড নোবেল’, যা নোবেল সিরিজের সর্বশেষ পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আর্থিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
একাডেমির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই তিন অর্থনীতিবিদ আমাদের শিখিয়েছেন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বতঃসিদ্ধ নয়। মানব ইতিহাসের অধিকাংশ সময়েই অর্থনৈতিক স্থবিরতাই ছিল স্বাভাবিক অবস্থা, প্রবৃদ্ধি নয়। তাদের গবেষণা দেখায়—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে হলে সম্ভাব্য হুমকিগুলোর বিষয়ে সচেতন থেকে তা প্রতিহত করতে হবে।’
জোয়েল মকির যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ফিলিপ আগিওন প্যারিসের কলেজ দ্য ফ্রান্স ও ইনসিয়াডে অধ্যাপনা করেন, পাশাপাশি তিনি ব্রিটেনের লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সেরও অধ্যাপক। এবং পিটার হাওইট যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। পুরস্কারের অর্ধেক পেয়েছেন মকির, আর বাকি অর্ধেক ভাগ করে নিয়েছেন আগিওন ও হাওইট।
নোবেল কমিটির সদস্য জন হাসলার বলেন, ‘জোয়েল মকির ঐতিহাসিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন কীভাবে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ভিত্তিতে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, “ফিলিপ আগিওন ও পিটার হাওইট একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন ‘ক্রিয়েটিভ ডিসট্রাকশন’, অর্থাৎ ‘সৃজনশীল ধ্বংস’-এর ধারণা নিয়ে, যেখানে পুরোনো পণ্যকে প্রতিস্থাপন করে নতুন ও উন্নত পণ্য বাজারে আসে।’
গত সপ্তাহে চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, শান্তি ও সাহিত্য—এই পাঁচটি বিভাগে ২০২৫ সালের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষক সাইমন জনসন, জেমস রবিনসন ও দারন আসেমোগলু। তারা উপনিবেশবাদ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা করেছেন—কেন কিছু দেশ বহু দশক ধরে দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে আছে।