‘২০২৪ কান্ট্রি রিপোর্ট’ বলছে, আগের সরকারের আমলে ছিল গুম, হত্যা, নির্যাতন ও দমননীতি
প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১:২২:৪৮
ঢাকা, ১২ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘২০২৪ কান্ট্রি রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস প্রাকটিস: বাংলাদেশ’-এ বলা হয়েছে, যদিও আগের সরকারের সময় দেশে গুম, বেআইনি হত্যা, নির্যাতন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে শত শত মানুষের প্রাণহানির পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আগের সরকারের আমলে নির্বিচারে হত্যা, গুম, বেআইনি আটক, বিদেশে সমালোচকদের হয়রানি, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা, সেন্সরশিপ এবং শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটেছে। শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি শিশুশ্রমের গুরুতর সমস্যা বিদ্যমান ছিল। এছাড়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দায়মুক্তি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রবণতা ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে আগের সরকারের অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন সাইবার আইনে দায়ের হওয়া এক হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহার ও আটক ব্যক্তিদের মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হচ্ছে। অপরাধীদের বিচারের জন্য দেশের প্রচলিত আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়ই ব্যবহার করা হচ্ছে।