চীনের উৎপাদন ও রপ্তানি কমায় বিশ্ব অর্থনীতিতে নেমেছে চাপ।
প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২৫, ১:০১:৫৫
চীনের উৎপাদন ও রপ্তানি কমায় বিশ্ব অর্থনীতিতে নেমেছে চাপ। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের বাজারে আশঙ্কার মেঘ, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর পড়ছে প্রত্যক্ষ প্রভাব।চীনের অর্থনীতিকে বলা হয় ‘বিশ্ববাজারের ইঞ্জিন’। কিন্তু সেই ইঞ্জিনেই এখন জ্বালানি ঘাটতি।২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে চীনের শিল্প উৎপাদন, ভোক্তা চাহিদা ও রপ্তানি তিন ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে ধীরগতি। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘ফিনানশিয়াল টাইমস’ এর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, চীনের প্রবৃদ্ধি হার কমে ৪.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা গত এক দশকের মধ্যে অন্যতম নিম্ন পর্যায়।বিশ্বব্যাপী কাঁচামাল, ইলেকট্রনিকস পণ্য ও শিল্প যন্ত্রাংশের প্রধান উৎস চীন। তাই উৎপাদন হ্রাসের ধাক্কা পৌঁছেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধীরগতি শুধু চীনের সমস্যা নয়, এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববাজারে দেখা দিতে পারে নতুন ধরনের অর্থনৈতিক সংকট।
“চীন কাশি দিলে পুরো বিশ্ব হাঁচি দেয় এটা শুধু প্রবাদ নয়, বাস্তব অর্থনীতির নিয়ম।” ড. ইসহাক হুয়াং, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই মন্দা-ধারা বিশ্ব সরবরাহ চেইনে (Global Supply Chain) চরম অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি বড় ধাক্কা। বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নির্মাণ খাতে চীননির্ভর আমদানি হওয়ায় এখানেও খরচ বেড়ে যেতে পারে। চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারেও ভোক্তা আস্থা কমে গেছে। ‘ব্লুমবার্গ’ বলছে, গত ৫ বছরে চীনে সবচেয়ে কম পর্যায়ে এসেছে পারচেইজিং পাওয়ার। এছাড়া রিয়েল এস্টেট খাতের ধস, স্থানীয় সরকারের ঋণ সংকট ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সব মিলিয়ে বিশ্ববাজারে চীনের অবদান প্রশ্নের মুখে।তবে প্রযুক্তি খাতে কিছুটা আশার সঞ্চার করছে নতুন এআই উদ্যোগ ও বৈদ্যুতিক গাড়ি রপ্তানি। তবে তা সামগ্রিক অর্থনীতিকে কতটা রক্ষা করতে পারবে, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।