মে মাসে পজিটিভিটি লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭%–এরোন, DGHS ১১‑পয়েন্ট নির্দেশনায় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান।
প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২৫, ২:২৭:০১
বাংলাদেশে XFG ও XFC নামের নতুন ওমিক্রন সাব‑ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর কোভিড ১৯ সংক্রমণ আবারো বাড়ছে। সাম্প্রতিক ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন (প্রায় ৫.০৪% পজিটিভিটি), যা গত ২৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির ইঙ্গিত বহন করছে । একই সাথে আরও ১৩১ নমুনার পরীক্ষায় ৯.৩৫% পজিটিভিটি দেখা গেছে ডিজিএইচএস-এর তথ্যে যা গত কিছুদিনের তুলনায় শতকরা ২–৩ গুণ বেড়েছে ।
নতুন সাব‑ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও উপসর্গগুলো বেশিরভাগই নরম হালকা জ্বর, কাশি ও স্বাদ/গন্ধ হারানো তবে ৩ জন প্রবীণ আক্রান্তের মধ্যে একাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (DGHS) ১১‑পয়েন্ট নির্দেশনা জারি করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সহ:
জনসমাগম এড়ানো ও মাস্ক নিয়ত ব্যবহারের অনুরোধ
হাসপাতাল ও ক্লিনিকে RT PCR ও র্যাপিড টেস্ট পুনঃচালুর উদ্যোগ
RT-PCR পজিটিভিটি ও নমুনা ফল ব্যবহারে মনিটর ব্রডকাস্ট
এই কার্যক্রমে বর্তমানে ৬টি সরকারি হাসপাতালে টেস্ট ও চিকিৎসা সেবা দ্রুত চালু করা হচ্ছে
পরামর্শসমূহ (এমার্জেন্সি স্ট্যান্ডার্ড):
সর্বপ্রথমে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করুন, বিশেষ করে যাদের শেষ ডোজ প্রায় ৬ মাস আগে নেওয়া হয়েছে এবং প্রবীণ, গর্ভবতী ও রোগপ্রবণরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করুন শপিং মল, মহড়া, গণপরিবহনে বিশেষ নজর দিন।
হাত নিয়মিত সাবান দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করুন, বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে।
কাশি/জ্বর/শ্বাসকষ্ট এর উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে থাকুন ও অবিলম্বে ডাক্তার দেখুন।
DGHS ও IEDCR’র নির্দেশনা পালন করুন যদি দ্রুত টেস্টিং বা চিকিৎসা দরকার হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করুন।