বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহারের উপযোগী ড্রোন তৈরিতে নতুন সাফল্য
প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২৫, ২:১০:২৬
সি-ড্রোন বা সমুদ্রচালিত ড্রোন প্রযুক্তিতে নতুন এক মাইলফলক অর্জন করেছে তাইওয়ান। নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত স্বয়ংক্রিয় নেভিগেশন ও স্মার্ট সেন্সরযুক্ত ড্রোন সম্প্রতি সফলভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
নতুন এই সি-ড্রোন শত্রু জাহাজ শনাক্ত, সাবমেরিন পর্যবেক্ষণ এবং উপকূলীয় নজরদারিতে ব্যবহারযোগ্য হবে বলে জানায় তাইওয়ানের নেভাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট। পাশাপাশি বাণিজ্যিক খাতে এটি মৎস্য খামার, সমুদ্র পরিবহন, ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণেও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
পদার্থবিদ্যা ও এআই-ভিত্তিক কন্ট্রোল সিস্টেম
নতুন সি-ড্রোনটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ও রিমোট সেন্সিং টেকনোলজি সমন্বয়ে তৈরি। এটি সমুদ্রের ঢেউ, তাপমাত্রা, নোনা পানির চাপ ও শব্দ তরঙ্গ বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। এতে রয়েছে:
এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ড্রোনগুলো দুর্গম সমুদ্রসীমা কিংবা দ্বীপাঞ্চলে মানুষবিহীন মিশনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
চীনের সমুদ্র নীতির জবাবে কৌশলগত প্রস্তুতি
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের ক্রমবর্ধমান সমুদ্র আধিপত্যের প্রতিক্রিয়ায় এই প্রযুক্তি তাইওয়ানের স্বাধীন নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “আমাদের লক্ষ্য প্রতিরোধ, হামলা নয়। তবে সি-ডোমেইনে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি ছিল, যা এই প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।”
অংশীদারদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান
এই প্রযুক্তি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের কিছু গবেষণা সহযোগিতা থাকলেও, প্রযুক্তির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে তাইওয়ানের। বেসরকারি প্রযুক্তি কোম্পানি ‘OceanX Dynamics’ ড্রোনের নির্মাণ ও সফটওয়্যার উন্নয়নে অংশ নিয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
২০২৫ সালের মধ্যে আরও উন্নত সি-ড্রোন ফ্লিট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে, যেগুলো হবে সম্পূর্ণভাবে আত্মনির্ভরশীল এবং সমুদ্রের গভীর পানিতে কাজ করতে সক্ষম। বাণিজ্যিকভাবে এই ড্রোনগুলোর রপ্তানি সম্ভাবনাও উজ্জ্বল বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।