রয়টার্সকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার
 
                            প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩:৫২:১৩
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি অথবা তার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন। রয়টার্সের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বুধবার দুপুরে তাদের অনলাইন সংস্করণে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে।
রয়টার্সের বরাতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে রয়টার্সকে বুধবার সাক্ষাৎকার দেন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার।
বর্তমানে বাংলাদেশে তার দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে।
শেখ হাসিনা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি শুধু আমি বা আমার পরিবারের ব্যাপার নয়। বাংলাদেশ যে ভবিষ্যৎ চায়, তা অর্জন করতে হলে সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না।’
তবে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগের মন্তব্যের সঙ্গে এই বক্তব্যটি কিছুটা ভিন্ন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বসবাস করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। গত বছর রয়টার্সকে তিনি বলেছিলেন, যদি অনুরোধ আসে, তাহলে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি তিনি বিবেচনা করবেন।
শেখ হাসিনা রয়টার্সকে আরও জানান, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে যদি নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো সরকার গঠিত হয়, তাহলে সেই সরকারের অধীনে তিনি দেশে ফিরবেন না। আপাতত ভারতে থাকারই পরিকল্পনা করছেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি দেশে ফিরতে চাই, তবে শর্ত একটাই—সেখানে বৈধ সরকার থাকতে হবে, সংবিধান অটুট থাকতে হবে এবং প্রকৃত আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সহিংসতা ও আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমসহ বেশ কিছু অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান।
এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রকাশ বা প্রচার নিষিদ্ধ করে ট্রাইব্যুনাল।